লেখিকা:#সাদিয়া_আফরোজ
পর্ব:২৮
•
•
•
•
•
•
•
চোখ খুলতেই নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করলাম। চোখ কচলে চারদিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম এইটা সেহরিশের রুম। উঠে বসলাম মাথাটা ভীষণ ঘুরছে। মনে হচ্ছে এক্ষুনি ঢলে প*ড়ে যাবো। বিছানা থেকে উঠবো এমন সময় খাবারের ট্রে নিয়ে রুমে ঢুকলো সেহরিশ। দেখেই মনে হচ্ছে সদ্য গোসল করছেন উনি। আমাকে দেখে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে। তার সেই তাকানোকে উপেক্ষা করে বিছানা ছেড়ে দাঁড়ালাম। মূহুর্তে যেন পুরো পৃথিবী ঘুরে উঠলো। সেহরিশ খাবারের ট্রে রেখে দৌড়ে এসে আমাকে জাপটে ধরলো।
~ কি হলো জান? এক্ষুনি তো পড়ে যাচ্ছিলে! উঠলে কেন?মাথা ঘুরাচ্ছে তোমার? কথা বলো!
নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে করতে বললাম, এতো দরদ দেখাতে আসবেন না। ছা*ড়ু*ন আমাকে। এই চ*রি*ত্র*হী*ন মেয়েকে এই ভাবে জড়িয়ে রাখতে নেই। ছাড়ুন আমাকে চলে যাবো আমি। বলেই ফিকরে কেঁদে উঠলাম।
সেহরিশ জোর করে বিছানায় সুইয়ে দিয়ে নিজে আমার উপর উবু হয়ে সুয়ে পড়লো। রে*গে ধা*ক্কা দিতেই পুরো শরীরের ভা*র ছেড়ে দিয়ে গলায় মুখ গুজলো। দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে যেন।
মুখ গুজে দিয়ে কোমলমতি গলায় বললো, জানিস তো, তোর বরটা একটু পা*গ*লা*টে আর খুব বেশি রাগি। সব জেনেও কেন ছেড়ে গেলি? আমার রাগটাই চোখে পড়ে তোর! ভালোবাসাটা চোখে পড়ে না? রে*গে উল্টোপাল্টা বলেছি আর তুইও তা মনের মধ্যে গেঁথে নিয়ে বসে আছিস? একবারও মনে হয়নি! মানুষটা পা*গ*ল তাই এইসব বা*জে কথা বলেছে। তা না হলে সে মন থেকে কখনোই এইসব বলবে না।দূরে গিয়ে মে*রে ফেলতে চাস তুই? কেন গেলি তুই? হন্যে হয়ে খুঁজেছি তোকে। দারোয়ান চাচা বললো বেরোতে দেখেনি। নাবিল বললো তাদের বাসাও যাসনি। ভয়ে মা-বাবাকে কল করতে পারছিলাম না। কিভাবে জিজ্ঞেস করবো তোর কথা? কিভাবে বলবো, আপনার মেয়েকে এতোটাই গভীর আ*ঘা*ত দিয়েছি যে, ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিভাবে বলবো, সে আমার ভালোবাসা না বুঝে রে*গে যাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে চলে গেছে! কেন গেলি তুই? এই কয়েকঘণ্টা কত খা*রা*প খা*রা*প চিন্তা মাথায় আসছিলো জানিস? কেন গেছিলি বল না?
কথা গুলো বলতে বলতেই কেঁদে দিল সেহরিশ।
বুকের ভেতর জমিয়ে রাখা অভিমান যেন প্রশ্নের ঝড় তুলছে। একবুক অভিমান নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,, কি ভুল ছিলো আমার সেহরিশ?
গাড় থেকে মুখ তুলে দুগালে চুমু আটলো। তার চোখের পানি আমার গালের উপর টুপ টুপ করে পড়ছে। সে অশ্রুসিক্ত চোখে আমার মুখের আদলে চাইলো ।চোখে চোখ রেখে আদুরে গলায় বললো, তোর কোনো ভুল নেই সব ভুল আমার। কেন আমি তোর আশেপাশে দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে মেনে নিতে পারি না!কেন বার বার মনে হয় তুই আমায় ছেড়ে যাবি! কেন মনে হয় আমাকে ভালো না বেসে অন্য কাউকে বাসবি!এইসব ভাবলে আমি আর ঠিক থাকতে পারি না। একটু ভালোবেসে দেখ! তোর পায়ের নিচে সব সুখ এনে দিবো। একটু ভালোবাসা যায় না?
তার প্রতিটা কথায় অভিমানের পাহাড় গলতে শুরু করলো। নারীজাতি তুই এমন কেন? হাজার ক*ষ্ট দেয়ার পরও সেই পুরুষের দুটো আদুরে কথায় কেন তোর ক*ষ্ট লাঘব হয়? নারীজাতি তুই বড্ডো বে*হা*য়া বড্ডো লো*ভী। ভালোবাসা পাওয়ার এতো লো*ভ কেন তোর? কেন বে*হা*য়া*র মত ভালোবাসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় ছাতক পাখির মতো চেয়ে থাকিস! নারীজাতি তুই বড্ডো লো*ভী তুই বড্ডো বে*হা*য়া।
বে*হা*য়া চোখের কোণে ভীড় জমাচ্ছে নোনা জল। বুকের ভেতরটা হাল্কা হয়ে আসছে কিন্তু কোথাও জিনাত নামটা বড্ডো বেশি পো*ড়া*চ্ছে। তার চোখে চোখ রেখে বললাম,
~ভালোবাসেন আমায়?
আমার প্রশ্নে মুচকি হেসে বলল, পরিমাপ করা যাবে না এতোটা ভালোবাসি।
~ এতোটা ভালোবাসলে জিনাত কেন আপনার ভালোবাসা হবে! আমি কেন নই? কেন আপনি এখনো তাকে গুছিয়ে রেখেছেন? কেন বার বার আপনাকে ভালোবাসতে গিয়েও সেই নামের জন্য সব বি*স*র্জ*ন দিতে হয়? কেন সে আপনার ভালোবাসা হবে? বলুন কেন?
আমার প্রশ্নে থমকে গেলো সে।সরে গিয়ে পাশ ফিরে সুয়ে পড়লো । তার নিরবতা যেন হাজারটা কথা বলছে। ফিকরে কেঁদে উঠলাম। আমি তার কোথাও নেই। তাহলে কেন এতো নাটক তার। কেন তাকে হারানোর তীব্র ক*ষ্ট কুঁ*ক*ড়ে কুঁ*ক*ড়ে খা*চ্ছে আমায়। ভালোবেসে ফেলেছি তাকে। ভীষণ ভাবে ক*ষ্ট দেওয়া মানুষটাকে ভালোবেসে ফেলেছি।
আমার কান্নার মাঝেই দুহাত দিয়ে আগলে নিলো আমায়। খুব যত্ন করে বুকের সাথে জড়িয়ে রেখে নির্মল গলায় বলল,, আজ যা বলেছো বলেছো। এরপর যেন আর না শুনি।জিনাত আমার তি*ক্ত অতীত, এতোটাই তি*ক্ত যে সে আমার ঘৃ*না ছাড়া কোথাও নেই।না অনুভবে , না অনূভুতিতে , না আমার জিবনে।সে যদি কোথাও থাকতো তাহলে হয়তো তোমাকে পেতাম না।বুঝলে!
আমি তার কথা শুনে চুপ হয়ে গেলাম।সেহরিশ কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে আবার বলে উঠলো।
~ মা মা*রা যাওয়ার পর নিজেকে ঘর ব*ন্দি করে রাখি। কিছুদিন পর আবার আগের মত ভার্সিটিতে যাওয়া শুরু করি। এরই মধ্যে বন্ধু মহলে যুক্ত হয় জিনাত নামের একটা মেয়ে। রুপক , রোহান, শিমুল আর আমি আমরা চারজনের গ্ৰুপের মধ্যে একটাই মেয়ে জিনাত।মায়ের জন্য ভীষণ রকমের খারাপ লাগা কাজ করতো বিধায় চুপচাপ হয়ে বসে থাকতাম। জিনাত সেই সময়টা আমার পাশে পাশে থাকতো। আমাকে সময় দিতো, হাসানোর চেষ্টা করতো, মন ভালো করার জন্য হাজারো উপায় বের করতো। একটা সময় আমি তার উপর ভীষণ ভাবে দূর্বল হয়ে পড়লাম,তেমনি জিনাতও । দুজন দুজনকে মনের কথা জানিয়ে দিলাম।সময় গুলো বেশ ভালোই যাচ্ছিলো। আমি জিনাতকে খুব বেশিই ভালোবাসতে শুরু করলাম। ম*রি*য়া হয়ে উঠেছিলাম কিন্তু সে হয়তো আমাকে অতোটা ভালো বাসেনি।জানো নেহা! সেইদিন সন্ধ্যায় বাবা কল দেয় যে, তার গুরুত্ব পূর্ণ একটা ফাইল বাড়িতে রয়ে গেছে। আমাকে বলে তা দিয়ে আসতে। আমিও বেরিয়ে পড়ি ফাইল নিয়ে। বাবার অফিসের সামনে নামতেই চোখ যায় তার অপজিটে। রেস্টুরেন্টে জিনাতের মতো কাউকে দেখতে পেলাম। দৌড়ে সেখানে যেতেই পা থমকে যায়। জিনাত কারো সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে নোং*রা কার্যকলাপে বুদ হয়ে আছে।যেখানে এতো দিনের সম্পর্ক থাকা অবস্থায়ও আমি তার হাত ওবদি ধরি নি। সেখানে জিনাত,,
এতটুকু বলেই থামলো সেহরিশ।কথা গুলো বারবার গলায় জড়িয়ে যাচ্ছে। আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না। স্বামীর বুকে মাথা রেখে স্বামীর প্রাক্তনের কথা শুনছি,এমন ঘটনা বোধহয় বিরল।সেহরিশ আরেকটু নিবিড় ভাবে জড়িয়ে নিলো আমায়। জোরে শ্বাস ফেলে বললো,,নেহা সে আমায় ভালোবাসেনি। আমার অগোচরে বিনয় নামের ছেলেটার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলো।বিনয়কে কি বলছিলো জানো? আমার মত ছেলে নাকি ভালোবাসার যোগ্য না।আমি তার চাহিদা গুলোকে পূরণ করি না। এমন ছেলের সাথে টাইমপাস ছাড়া কিছুই হয় না। আমার মতো ছেলেকে শুধু রাখা হয় টাকার মেশিন হিসেবে। জিনাত আমার থেকে গিফ্ট চাইতো, শপিং এর জন্য টাকা চাইতো। আমি দিয়ে দিতাম কখনো মনে ভেতর অন্য চিন্তা রাখিনি। কিন্তু কি বলোতো সে এতোটা নি*কৃ*ষ্ট ,জ*ঘ*ন্য আর চ*রি*ত্র*হী*ন মেয়ে ছিল আমি জানতাম না।ও আমার থেকে টাকা নিয়ে বিনয়কে দিতো। এতোটাই জ*ঘ*ন্য ছিল সে। নিজের ভালোবাসাকে সম্মান শ্রদ্ধা করা কি অ*প*রা*ধ? জিনাতের সামনে দাড়াতেই হকচকিয়ে উঠলো। রা*গে জে*দে থা*প্প*ড় বসিয়ে দিলাম। সেখান থেকে সোজা বাড়ি চলে আসি।ঘরের ভেতর ভাং*চু*র শুরু করি। ভীষণ ক*ষ্ট হচ্ছিল তখন। কি করলে কষ্ট কমবে বুঝে উঠতে পারছিলাম না।এমন কোনো রাত নেই যে কাঁদিনি, চিৎকার করে কাঁদতাম নেহু।কি করবো আমি! খুব বেশি ভালোবেসেছিলাম তাকে। এক দু'দিনের ভালোবাসা না। দেড় বছরের ভালোবাসা ছিলো যা এক মূহুর্তেই শেষ হয়ে যায়। বেশ কিছুদিন পর জানতে পারি বেইমানটা বিনয়কে বিয়ে করেছে। আমার চারপাশটা আরো বেশি তি*ক্ত হয়ে উঠলো। এইখানে থাকা প্রায় অ*সম্ভব হয়ে পড়েছিল। একদিন বাবাকে বললাম বাইরে চলে যাবো,দেশে থাকবো না। বাবাও রাজি হয়ে যায়। পাহাড় সমান কষ্ট আর না*রী*জা*তি*র উপর প্রচন্ড ঘৃ*না নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমালাম। যেখানে নেই জিনাত নামের কেউ। বিশ্বাস করো নেহা! জিনাত কোথাও নেই। আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি।
সেহরিশের কথা শেষ হতেই তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।চোখ বুজে গাড় নিঃশ্বাস ফেলে বললাম,, হুম বিশ্বাস করি।
সেহরিশ বোধহয় এমন কিছু আশা করেনি। জড়িয়ে ধরার ঈষৎ কেঁপে উঠলো। বেশ কিছুটা সময় চুপ করে থেকে বলল,, ভালোবাসো আমায়!
তার কথায় ল*জ্জা*য় আড়ষ্ট হয়ে উত্তর দিলাম,, জানি না।
আমার উত্তর যেন বেশ মজার ঠেকলো। শব্দ করে হেসে উঠে বললো, তোমার জানার দরকার নেই। আমি জানলেই হবে।
চুপটি করে তার বুকে মুখ লুকিয়ে ফেললাম। মাথায় হাত বুলিয়ে আদুরে গলায় বলল, দুপুরে কিছু খাওনি এখনও খাওনি। কেমন শুকিয়ে গেছো তুমি। উঠো খেয়ে নিবে!
মুখ তুলে তাকালাম। উনি স্নিগ্ধ হেঁসে বলল, কি হলো?
উঠে বসলাম আমি। তার কপালে হাত ছুঁইয়ে বললাম, কা*ট*লো কি ভাবে?
উনি কথা ঘুরাতে বললো, চুপ করে বসো। আমি খাইয়ে দিচ্ছি লক্ষি বউয়ের মতো বসে খেয়ে নাও।
হাত ধুয়ে খাবার মেখে আমার মুখের সামনে ধরলো। আমিও বিনা বাক্যে মুখে পুরে নিলাম। আমিও হাত ধুয়ে প্লেট থেকে খাবার তুলে তার মুখের সামনে ধরলাম। সেহরিশ স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে চোখ মুছে খাবার মুখে পুরে নিলো।কেমন তৃপ্তি করে খাবার চিবোচ্ছে। মনে হচ্ছে এই প্রথম এতোটা তৃপ্তি করে খাবার খাচ্ছে। লোকটাকে একটু বেশিই ক*ষ্ট দিয়ে ফেললাম বোধহয় । উঁহু আর কখনো ক*ষ্ট দিবো না।এই পা*গ*ল লোকটাকে ভালোবাসলে মন্দ হবে না।
খাবার শেষ হতেই ফাষ্ট এইড বক্স নিয়ে আমার সামনে বসলো। তুলোর সাহায্যে স্যাভলন দিয়ে কপালের কা*টা জায়গাটা পরিস্কার করে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দিলো। আমি নিঃপলক তার দিকে চেয়ে আছি। কে বলবে লোকটা এতো রাগী?চোখ মুখ কতোটা নির্মল! কতোটা শান্ত! দেখলেই ইচ্ছে হবে ভালোবাসতে।নাহ্ লোকটাকে ভালোবাসতে হবে। এতোটাই ভালোবাসতে হবে যে , আমার ভালোবাসার সামনে যেন তার রাগ ফিকে পড়ে।
~ কি দেখছো এমন করে?
সেহরিশের প্রশ্নে হকচকিয়ে গেলাম। ওনার হাত থেকে ফাষ্ট এইডের বক্স নিয়ে বললাম, কপালের কা*টা দাগ।
~ ও কিছু না।
~ বললেই হলো! কাটলো কি করে? তাড়াতাড়ি বলুন। নয়তো বাড়ির গেইট খোলা আছে এক্ষুনি চলে যাচ্ছি।
~ এক পা বাড়িয়ে দেখো! পা ভে*ঙ্গে ঘরে বসিয়ে রাখবো। পরে আমি কোলে নেওয়া ছাড়া কোথাও যেতে পারবেনা। অবশ্য কোলে নিতে আমার কোনো সমস্যা নেই।
~ কথা ঘুরাবেন না। বলুন কা*ট*লো কি করে?
সেহরিশ আমতা আমতা করে বলল, রিকশার সাথে ধা*ক্কা লেগে পড়ে গেছিলাম।
সেহরিশের চোখ বলছে সে মিথ্যা কথা বলছে।
~ আপনি রিকশার সাথে ধা*ক্কা লেগে প*ড়ে গেছেন এইটাও বিশ্বাস করতে হবে? পড়লে হাঁটুতেও ব্যা*থা পেতেন। কিন্তু আপনার চোখ অন্য কথা বলছে।
~ যখন চোখের ভাষা পড়তেই পারো তাহলে জিজ্ঞেস করছো কেন?
তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লাম। ওয়াশ রুমের দিকে অগ্রসর হতে হতে বললাম,,এতো রাগ ভালো নয়। রাগ ধ্বং*সের মূল।
পেছন থেকে গলা উঁচিয়ে বলে উঠলো সেহরিশ, ভালোবাসার মাত্রা বাড়িয়ে দাও রাগ কমে যাবে। নিজের বরকে ধ্বং*সের মুখ থেকে বাঁ*চা*নো বউয়ের দায়িত্ব কর্তব্যের মধ্যে পড়ে প্রিয়তা। তুমি তো আমার বউ সেক্ষেত্রে তোমার উপর দায়িত্ব পড়েছে প্রিয়তা। তুমি ভালোবাসলে আমার রাগ পড়ে যাবে।
তার কথা কর্ণকুহরে পৌঁছতেই লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম। মৃদু আওয়াজে নির্লজ্জ বলে দরজা আটকে দিলাম। তার হাসির আওয়াজ শুনা যাচ্ছে। শব্দ করে হাসছে সে। মধ্যরাতে তার হাসির আওয়াজে হৃৎপিণ্ড ঢিপ ঢিপ শব্দ করে বলছে,"নেহা তুই সত্যি তার প্রিয়তা"
চলবে,,,
(ভুল গুলো সুধরে দিবেন। বড় করে দিয়েছি কিন্তু। তাই দুই লাইন বলে যাবেন 🥰)
Tags: নীল ক্যাফের সব গল্পের লিংক । নীল ক্যাফের রোমান্টিক গল্প । আমি তার প্রিয়তা পর্ব ২৮